‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’র মতো আরও অনেক ইস্যু সৃষ্টি করে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত চলছে বলে মনে করছে বিএনপি। দেশে এক ধরনের ‘অরাজকতা’ তৈরি করতে একটি মহল চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও দলটি মনে করছে। দেশে এই যে পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা, সেটা আওয়ামী লীগকে মাইনাস করার পর বিএনপিকেও মাইনাস করার ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন দলটির নেতারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আরও সতর্ক থাকার বিষয়ে বিএনপি নেতাকর্মীকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলটির নেতারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেন বলে বৈঠক সূত্র জানিয়েছে। সোমবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দলটির নেতাদের অভিমত, ছাত্রদের এই প্ল্যাটফর্ম থেকে এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের দাবি তোলা হয়েছিল। সেটা হলে দেশে সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হতো। এরই ধারাবাহিকতায় বাহাত্তরের সংবিধান পরিবর্তনের দাবিতে তারা রাজধানীতে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলোকে আমলে না নিয়ে ‘কর্তৃত্ববাদ’ প্রতিষ্ঠা করার জন্যই তারা এ কাজে অগ্রসর হয়েছে। আগামীতে তারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ইস্যুও তৈরি করতে পারে বলে শঙ্কা করছেন বিএনপি নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এদিন একটিই এজেন্ডা ছিল, সেটা হলো– ছাত্রদের ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার নতুন উদ্যোগ। আলোচনায় বিএনপি নেতারা এ প্রসঙ্গ নিয়ে নানা অভিমত ব্যক্ত করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের পেছনে কারা, কাদের পৃষ্ঠপোষকায় তারা এসব কর্মকাণ্ড করছে– স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপির কেউ কেউ সেই প্রশ্নও তোলেন।
বিএনপির মূল্যায়ন হচ্ছে, ছাত্র আন্দোলনের এসব উদ্যোগের দৃশ্যমান কোনো পৃষ্ঠপোষক তারা খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামীর ভূমিকা নিয়ে সন্দিহান দলের সব নেতা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এইচ